“লুঙ্গি, টিকি, পৈতে, টুপি সব একাকার হয়ে গেছে।”- কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য? মন্তব্যটির তাৎপর্য আলোচনা করো।
👉🏻 গননাট্য আন্দোলনের পুরধা পুরুষ বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটকের এই উক্তিটি দুর্ভিক্ষের কঠিন পরিস্থিতিতে মানবতার একটি গভীর সত্য উন্মোচন করে।
● প্রসঙ্গ :– বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিজন ভট্টাচার্য রচিত আগুন নাটকের পঞ্চম দৃশ্যে, দুর্ভিক্ষের কবলে পড়া মানুষেরা চাল সংগ্রহের গাড়িতে অন্ন সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। অন্ন প্রত্যাশীদের সেই দীর্ঘ লাইনকে সামলানোর জন্য সিভিক গার্ড সেখানে উপস্থিত আছেন। এই লাইনে নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একত্রিত হয়েছে। তাদের পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে লুঙ্গি, টিকি, পৈতে, টুপি উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে নিরন্ন মানুষেরা চাল নিয়ে যে যার মতো বেরিয়ে যাচ্ছে। লুঙ্গি পরা জনৈক মুসলমান ভাই চাল নিয়ে বেরোনার পথে দোকানীকে জিজ্ঞেস করে– “সেই দিন কার মতো পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে তো? কেউ বাদ যাবে না তো?”
– মুসলমান ভাইয়ের কথা শুনে চালের দোকানদার আলোচ্য মন্তব্যটির অবতারণ করেন।
● মন্তব্যের তাৎপর্য :– জাঠোরাগ্নির দহন জাত-পাতের বেরাজাল মানে না। খিদের আগুন সকলকে সমান ভাবে দগ্ধ করে, এক্ষেত্রে জাতি-ধর্ম-বর্ণের বিভেদ নেই। আমরা দেখতে পাই মন্বন্তর কবলিত অন্ন প্রত্যাশীদের লাইনে লুঙ্গি পরিহিত মুসলমান, টিকিধারী ওরিয়া, পৈতেধারী হিন্দু এবং টুপি পরিহিত ইংরেজ রয়েছে। অর্থাৎ জাতি-ধর্ম-বর্ণ সহ ভৌগোলিক সীমানা বিভক্ত একদল মানুষকে ক্ষুধার আগুনে এই সারিতে এনে দাঁড় করিয়েছে। খিদের আগুনে পুড়ে গেছে তাদের ধর্মের বেড়া, ক্ষয় হয়ে গেছে বিভেদের বেড়াজাল।
যদিও দোকানির মন্তব্যটি তীর্যক ভাবেই প্রতিফলিত। সকল ক্ষুধার্তরা নিজেদের বিভেদ ভুলে এক লাইনে দাঁড়িয়েছে, এটাকেই মূলত নিজেদের বক্তব্যে ব্যঙ্গ করেছিলেন দোকানি। এই হল আলোচ্য অংশের অন্তনিহীত তাৎপর্য।
● সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার সাথে সম্পর্ক :– সুকান্ত ভট্টাচার্যের “দুর্ভিক্ষের জীবন্ত মিছিল/প্রত্যেক নিরন্ন প্রাণী বয়ে আনে অনিবার্য মিল” কবিতার সঙ্গে এই উক্তির গভীর সম্পর্ক। উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষুধার কারণে মানুষের মধ্যে যে একতা তৈরি হয়, সেটাই মূল বিষয়।
বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটকের এই অংশটি শুধু একটি সাহিত্যিক ঘটনা নয়, এটি সমাজের একটি গভীর সত্যকে প্রকাশ করে। দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে যে একাত্মতা জন্ম নেয়, তা আমাদের সকলকে মানবতার মূল্যবোধের প্রতি সচেতন করে তোলে।
“যে রক্ষক সেই হল গিয়ে তোমার ভক্ষক”- প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। বক্তার মতে রক্ষক কীভাবে ভক্ষক হয়ে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
👉🏻 গননাট্য যুগের অন্যতম অন্যতম নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য রচিত আগুন নাটকের চতুর্থ দৃশ্য থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
● প্রসঙ্গ :– নাটকের চতুর্থ দৃশ্যে মধ্যবিত্ত কেরানী হরেকৃষ্ণ এবং তাঁর স্ত্রী মনোরমার কথোপকথনের মধ্য দিয়ে তাদের পারিবারিক খাদ্যাভ্যাসের ছবিটি স্পষ্ট হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে মনোরমা স্বামীর কাছে জানতে চান যে অফিস থেকে যে চাল ডাল দেওয়ার কথা ছিল তার কি খবর? উত্তরে হরেকৃষ্ণ বাবু একটি দুর্ভিক্ষগ্রস্ত পরিস্থিতিতে অফিসের কর্মচারীদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করছেন। তিনি দেখান যে, অফিসের বড়োবাবুরা, যাদের কাছে কর্মচারীদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করার দায়িত্ব ছিল, তারাই কালোবাজারি করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছেন।
● রক্ষকের ভক্ষকে রূপান্তর :– অফিসের কেরানী হরেকৃষ্ণ বাবুর অফিস থেকে চাল ডাল পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা পাননি। কারণ অফিসের ম্যানেজার এবং ম্যানেজারের মো সাহেবেরা কর্মচারীদের জন্য স্বস্তায় চাল-ডাল নিয়ে এসে চরা দামে বাজারে বিক্রি করতে মত্ত। এভাবেই তাদের যে কালোবাজারী চলছে আর মানুষ জানছে অফিসের কর্মচারীরা স্বস্তায় চাল ডাল ও পাচ্ছে।
আসলে অফিসের যে বড়োবাবুরা দুর্ভিক্ষের নেতিবাচক পরিস্থিতিতে অন্যান্য কর্মচারীদের রক্ষা করার দায়িত্বে ছিলেন। তারাই মুনাফা লাভের লোভে কালোবাজারিতে মত্ত হয়েছেন। তাদের এই হীন মানসিকতার জন্যে দুর্ভিক্ষ ত্বরান্বিত হয়েছিল। মন্বন্তরের দিনে রক্ষকের মুখসধারী কালোবাজারি চক্র কীভাবে মানুষের মুখের গ্রাস কেরে নিয়েছে সেটা বুঝাতে বক্তার এই উক্তি। এভাবেই খাদ্য সংকটের জর্জরিত এক অসহায় কেরানি রক্ষকদের ভক্ষক বলে অভিহিত করে দুর্ভিক্ষের সময়ের মুনাফাবাজ কালোবাজারিদের প্রকৃত স্বরূপটি উন্মোচন করেছেন।
বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটকের চতুর্থ দৃশ্যে এই বাক্যটি ব্যবহার করে হরেকৃষ্ণ বাবু একটি গভীর সামাজিক বাস্তবতাকে উন্মোচন করেছেন। দুর্ভিক্ষের মতো একটা সংকটকালে যারা মানুষের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করার দায়িত্বে থাকেন, তাদেরই অনেকে কালোবাজারি করে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আগুন নাটকের চতুর্থ দৃশ্যে হরেকৃষ্ণ ও মনোরমার সংলাপের মধ্য দিয়ে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখ।
👉🏻 বাংলা গণনাট্য আন্দোলনে পুরধা পুরুষ বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটকের চতুর্থ দৃশ্যে বেসরকারি অফিসের কেরানি হরেকৃষ্ণ বাবু এবং তার স্ত্রী মনোরোমার সংলাপের মধ্য দিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের চরমতম অভিঘাতের কথা বর্ণিত হয়েছে।
১) সাংসারিক অনটন :– চতুর্থ দৃশ্যের সূচনাতে উদ্বিগ্ন হরেকৃষ্ণবাবু একজন সাধারণ অফিস কেরানি, যিনি দিনের পর দিন খাদ্যের অভাবে হিমশিম খাচ্ছেন। ঘরে চাল, ডাল, তেল— কিছুই নেই। চুলো জ্বালানোর জন্য কয়লাও নেই। স্ত্রী মনোরোমার কাছে এভাবে হরেকৃষ্ণ বাবু সাংসারিক দৈনের কথা তুলে ধরেছেন। স্ত্রী মনোরমা, এই দুর্দশা দেখে হতভম্ব।
২) রেশনে চাল দেওয়া :– স্বামীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মনোরমা জানান যে একটু কষ্ট করে হলেও আজ রেশনের লাইনে দাঁড়ানো উচিত। তিনি জানতে পেরেছেন রেশনে নাকি দু-সের করে চাল দেওয়া হবে। হরেকৃষ্ণ বাবু জানান অফিসের কাজের ব্যস্ততা এবং নিয়ম-কানুন রক্ষার কারণে তার পক্ষে চালের লাইনে দাড়ানো সম্ভব নয়। তাছাড়া রেশনের লাইনে দাঁড়ালেও যে তিনি চাল পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
৩) কালোবাজারি :– অফিস থেকে যে চাল ডাল দেওয়ার কথা ছিল সে প্রসঙ্গে মনোরমা তার স্বামীর কাছে জানতে চান। উত্তরে হতাশ হরেকৃষ্ণবাবু বলেন অফিসের কর্মচারীদের নামে সস্তার চাল-ডাল এনে ম্যানেজার ও তার মো সাহাবেরা সেগুলি কালোবাজারি করে চড়া দামে বাজারে বিক্রি করছেন। এখানে “যে রক্ষক সেই ভক্ষক”।
৪) ঈশ্বরের আশীর্বাদে সংশয় :– হরেকৃষ্ণ বাবু চাল, চিনি কেনার জন্য রেশন দোকানের উদ্দেশ্যে উদ্ধত হলে স্ত্রী তাকে ঠাকুর প্রণাম করতে বললে হরেকৃষ্ণবাবু স্ত্রীর অনুরোধ রক্ষা করেন এবং হাস্যকরভাবে ঠাকুরের উপর বিশ্বাস রাখতে বাধ্য হন।
■ পরিশেষে বলতে হয়, চতুর্থ দৃশ্যে হরেকৃষ্ণ ও মনোরমার সংলাপের মধ্য দিয়ে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের বা কালোবাজারির মতো সমসাময়িক সমাজের এক জ্বালাতন সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। অফিসের বড়বাবুরা নিজেদের স্বার্থে খাদ্য সামগ্রী কালোবাজারি করে, যার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ে।
আগুন নাটকের নামকরণের সার্থকতা উল্লেখ কর।
👉🏻 শেক্সপিয়রের প্রশ্ন– “What’s the name?” অর্থাৎ “নামে কি এসে যায়?” সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামের গুরুত্বকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। তবে রবীন্দ্রনাথের মতে, “নামের আমি/নামের তুমি/নামের গুনেই চেনা।” সাহিত্যকর্মের নাম তার পরিচয় বহন করে, তার সারমর্মের প্রতিফলন ঘটায়। বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটকের ক্ষেত্রে এই নামকরণ কতটা সার্থক হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
● নাটকটির বিষয়বস্তু :– মন্বন্তরের পটভূমিকায় পাঁচটি দৃশ্যে এই আগুন নাটকটি রচিত হয়েছে। প্রথম দৃশ্যে, ক্ষুদার্থ মানুষজনকে পেটের জ্বালা নিবারণের জন্য চাল সংগ্রহ করতে দেখা যায়। দ্বিতীয় দৃশ্যেও, একটি কৃষক পরিবারের খিদের আগুনকে
নির্বাপিত করার জন্য রেশন থেকে চাল সংগ্রহের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। তৃতীয় দৃশ্যে, কারখানার শ্রমিক পরিবারের কথোপকথন সূত্রে খিদের আগুন, জীবন সংগ্রাম এবং তৎকালীন খাদ্য সংগ্রহের চিত্র ফুটে উঠেছে। নাটকের চতুর্থ দৃশ্যে, হরেকৃষ্ণ ও তার স্ত্রীর কথোপকথন সূত্রে অফিসের কালোবাজারি ও অভাবের যন্ত্রণার কথা জানতে পারা যায়। পঞ্চম দৃশ্যে, খিদের জ্বালায় জ্বলতে থাকা একদল মানুষকে জাতি-ধর্ম-বর্ণের বেড়াজালকে অতিক্রম করে খাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়।
● নামকরণের সার্থকতা :– ‘আগুন’ নাটকটি মন্বন্তরের পটভূমিকায় রচিত। নাটকে একের পর এক চরিত্রের মুখে খিদের যন্ত্রণা, পেটের আগুনের বর্ণনা শোনা যায়। তারা সকলেই জীবন ধারণের জন্য সংগ্রাম করে, খাদ্যের সন্ধানে ছটাছুটি করে। নাটকের শেষ দৃশ্যে এক যুবকের মুখে উচ্চারিত “আগুন জ্বলছে আমার পেটে” এই বাক্যটি নাটকের মূল বিষয়বস্তুকে স্পষ্ট করে তোলে। এই জন্য সবদিক থেকে বিচার করে ‘আগুন’ নাটকের নামকরণ অত্যন্ত সার্থক হয়েছে। এক কথায়, ‘আগুন’ শব্দটি এই নাটকের আত্মা।
“আগুন জ্বলছে আমাদের পেটে” –উক্তিটি কার বা কাদের? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
👉🏻 বিজন ভট্টাচার্যের অসাধারণ নাটক “আগুন” থেকে উদ্ভূত “আগুন জ্বলছে আমাদের পেটে” এই উক্তিটি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন। নাটকের পঞ্চম দৃশ্যে, দুর্ভিক্ষের কালে চাল সংগ্রহের লাইনে হাহাকার গ্রস্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে একজন যুবক এই উক্তিটি করে।
প্রসঙ্গ :– চাল সংগ্রহের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে অন্নহীন মানুষ। তাদের মধ্যে একজন, চতুর্থ পুরুষ, লাইনের মাঝখানে ঢুকতে চাইলে বিপত্তি বাঁধে। তৃতীয় পুরুষের সঙ্গে তার বচসা বাঁধে। এই বিশৃঙ্খলা দেখে সিভিক গার্ড এসে পরিস্থিতি সামলাতে চায়। কিন্তু চতুর্থ পুরুষের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি বাড়তে থাকে। সিভিক গার্ডের অহংকারী ব্যবহারে চতুর্থ পুরুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ‘জানোয়ার’ বলে সম্বোধন করে। এই কথা শুনে সিভিক গার্ড রেগে চতুর্থ পুরুষকে মারতে উদ্যত হয়। ঠিক তখনই এক যুবক হাত নাড়তে নাড়তে চিৎকার করে ওঠে, “আগুন, আগুন!” সবাই আতঙ্কে চারদিকে তাকায়। যুবকটি দেখে সবাইকে শান্ত করে বলে, “আগুন জ্বলছে আমার পেটে, ক্ষুধার আগুন!”
তাৎপর্য :– “আগুন জ্বলছে আমার পেটে” – এই কথাটি একটি যুগান্তকারী দুর্ভিক্ষের সময়, একজন অন্নপ্রার্থীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে। দুর্ভিক্ষের কালো ছায়া ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা গ্রামে, বাংলার জীবনে নেমে এসেছিল ভয়াবহ বিপর্যয়। কিছু কালোবাজারি কারসাজির ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। মানুষকে ন্যায্য মূল্যে চালের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হতো। জাগতিক কোনো অশান্তি নয়, পেটের প্রবল ক্ষুধাই ছিল তাদের একমাত্র উদ্বেগ। এই লাইনেই ভুল বোঝাবুঝির জেরে একটা
ছোট্ট গোলমাল হয়ে যায়। ঠিক তখনই ওই যুবকটি তার অসহ্য ক্ষুধার কথা বলে এই চিৎকার করে ওঠে। এটি একটি প্রতিবাদ, একটি আকুল আবেদন। এই কথাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধার তীব্র যন্ত্রণা, অসহায়তার বেদনা এবং মানবতার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। এই বাক্যটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ক্ষুধা কেবল শারীরিক একটি অবস্থা নয়, এটি মানুষের মন ও আত্মাকেও ক্ষত করে।
– উপরিউক্ত অংশটি হল আলোচ্যমান উক্তিটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম Study গ্রুপে যুক্ত হোন -